“পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়, অপরাধকে ঘৃণা কর অপরাধীকে নয়”।– এই মহান আদর্শে ব্রতী হয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদফতর অপরাধ সংশোধনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। শিশু কিশোররা সাধারণত: চপল ও চঞ্চলমতি সম্পন্ন এবং পরিবেশ পরিস্থিতি দ্বারা অধিক প্রভাবান্বিত হয় এবং কখনো কখনো তাদের কেউ কেউ অপরাধ প্রবণ এমনকি অপরাধেও জড়িত হয়ে পড়ে। কাজেই তাদের অপরাধকে মূখ্য হিসেবে গণ্য না করে অপরাধের কারণসমূহ অনুধাবন ও বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অপরাধজনিত আচরণের সংশোধন ও তাদেরকে মানব সম্পদে উন্নীত করা সম্ভব। তাই আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীরা শাস্তির পরিবর্তে গঠনমূলক সংশোধনীর পক্ষে মত প্রকাশ করেন। “শিশুদের কারাগার প্রথম নয়, সর্বশেষ ব্যবস্থা” এ বক্তব্য তুলে ধরে সরকার প্রবেশন কার্যক্রমকে আরো জোরদার করা লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। শাস্তির পরিবর্তে উপযুক্ত তত্ত্বাবধান, পরামর্শ এবং সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে একজন অপরাধপ্রবণ শিশুকে সংশোধিত, সৃজনশীল এবং কার্যউপযোগী সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে জাতীয় উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সংযোজন করা সম্ভব।
১৯৬০ সালে প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স জারির (১৯৬৪ সালে সংশোধিত) মধ্য দিয়ে প্রবেশন কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারি উদ্যোগের সাথে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলায় প্রবেশন কার্যক্রমকে ভিত্তি করে ১৯৬২ সালে “অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি” প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কুমিল্লা জেলায় ২২/০৬/১৯৯১ তারিখে এক সভার মাধ্যমে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাস সমিতি গঠন করা হয় এবং ৩০/১০/১৯৯১ তারিখে উক্ত সমিতিটি স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংগঠন হিসেবে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, কুমিল্লা হতে নিবন্ধিত হয়।
নামঃ অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি, কুমিল্লা
নিবন্ধন নংঃ কুমি-৪৫৮/৯১
ঠিকানাঃ প্রবেশন অফিসারের কার্যালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তর, জেলরোড, কুমিল্লা
সমিতির কার্যএলাকাঃ কুমিল্লা জেলা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস